দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২০ সেপ্টেম্বর : শনিবার গভীর রাতে অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক রোগী কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভাঙচুর চালান ৷ একটা কাঠের টুল দিয়ে অনেক দামি দামি চিকিৎসা সামগ্রী তিনি ভেঙে ফেলেন । প্রায় একঘন্টা ধরে চলে তাঁর তান্ডব লীলা ।
ওই ঘটনার পর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাঠালেন হাসপাতাল সুপার ধীরাজ রায় । হাসপাতাল সুত্রে খবর,বেশকিছু কম্পিউটারের মনিটর ও সিপিইউ,রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, দুটো প্রিন্টার, সিরিঞ্জ পাম্প সহ বেশ কিছু দামী মেশিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার সঙ্গে ভাঙা হয়েছে আসবাবপত্রও । সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে ।
কাটোয়া শহর এলাকার বাসিন্দা অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই প্রৌঢ় পেশায় ব্যাবসায়ী । কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থতায় ভুগছিলেন । শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু রাতের দিকে শারিরীক সমস্যার কারনে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি ওয়ার্ডের মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন । এরপর রবিবারেই তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় । সোমবার অরুনবাবুকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
কিন্তু ওই রোগীর ভাঙচুরের ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী,নার্স, চিকিৎসক ও অনান্য কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসীদের মনে প্রশ্ন উঠছে । কারন রোগীকে প্রতিহত না করে নিজের নিজের স্মার্টফোনে ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করার দিকেই তাঁদের সকলেরই আগ্রহ বেশি ছিল বলে অভিযোগ । স্থানীয়দের দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীসহ সকল কর্মীরা যদি সচেষ্ট হতেন তাহলে হয়তো এই ক্ষয়ক্ষতি আটকানো সম্ভব হত ।
এনিয়ে হাসপাতাল সুপার ধীরাজ রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ভাঙচুরের সময় কর্তব্যরত কর্মীরা ওই রোগীকে আটকাবার চেষ্টা করেছিলেন বলে আমি শুনেছি । পাশাপাশি এটাও লক্ষ্য করছি অনেকেই ছবি তুলতেই ব্যস্ত ছিলেন । সিকিউরিটি কর্মীদের ডেকে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি । জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলা হয়েছে ।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভাঙচুরের ঘটনায় সাময়িকভাবে পরিসেবা ব্যহত হলেও জরুরীকালীন ভিত্তিতে টেকনিশিয়ানদের ডেকে কাজ করানো হয় । তারপর থেকে স্বাভাবিক পরিসেবা চলছে ।।