এইদিন ওয়েবডেস্ক, মুজাফফরাবাদ(পিওকে) ,১৪ মে : ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারনে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) জনরোষ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কয়েকদিন ধরেই সেখানে সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে । বর্তমানে পিওকের পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ । শুক্রবার থেকে পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। সোমবার টানা চতুর্থ দিনেরও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তানি পুলিশ । সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে । মৃতদের মধ্যে একজন পুলিশের এসআই রয়েছেন । এযাবৎ আহত হয়েছে অন্তত ১৮০ জন । বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ।
প্রকৃতপক্ষে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) । তার উপর পাকিস্তানের উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধির কারনে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে ৷ পিওকে-তে সামাজিক কর্মী, ব্যবসায়ী এবং আইনজীবীদের দ্বারা গঠিত একটি যৌথ আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং করের বৃদ্ধির বিরুদ্ধে রাজধানী মুজাফফরাবাদে একটি পদযাত্রার আহ্বান জানিয়েছিল। লক্ষাধিক বিক্ষোভকারী সোমবারও মুজাফফরাবাদ অভিমুখে তাদের লংমার্চ অব্যাহত রাখে । মিছিল থামাতে পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করে । ফলে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রবিবার পুলিশের এসআই আদনান কোরেশিকে জনতা গুলি করে হত্যা করে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলে খবর ।
পিওএকের সহিংস বিক্ষোভ পাকিস্তান সরকারকে নতজানু করে দিয়েছে। শাহবাজ শরীফ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পিওকে-র জন্য ২৩ বিলিয়ন টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে। স্থানীয় সরকার বিদ্যুতের দাম ও রুটির দাম কমানোর ঘোষণা করেছে । ভিম্বার থেকে বিক্ষোভকারীদের একটি কনভয় সোমবার দিরকোট থেকে মুজাফফরাবাদে প্রবেশ করে। এই বিক্ষোভকারীরা মুজাফফরাবাদে বিধানসভা ঘেরাও করতে চলেছে। চতুর্থ দিনেও পিওকেতে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন । সোমবার বিক্ষোভকারী এবং স্থানীয় সরকারের সাথে আলোচনা করার পর, তিনি অবিলম্বে কার্যকরভাবে পিওকের জন্য ২৩ বিলিয়ন টাকার বাজেট অনুমোদন করেছেন ।।