এইদিন ওয়েবডেস্ক,জাকার্তা,০৫ ডিসেম্বর : ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের আগ্নেয়গিরি সেমেরুর (Semeru) অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে । আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন । মাউন্ট সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি । শনিবার এই আগ্নেয়গিরি থেকে আকাশে ছাইয়ের পুরু স্তম্ভ ছড়িয়ে পড়ে । ঘন অন্ধকারে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা । আশপাশের লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেয় ।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহারী রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, অগ্নুৎপাতের ফলে ১৩ জন নিহত হয়েছেন । যাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে । দুই গর্ভবতী মহিলাসহ ৯৮ জন আহত হয়েছেন । ৯০২ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
ইন্দোনেশিয়ায় ২৭ কোটির অধিক জনবসতি বহুল একটি দ্বীপপুঞ্জ । ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের প্রবণতা কারণ এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার বরাবর অবস্থান করছে । এটি একটি অশ্বখুরাকৃতি ফল্ট লাইনের সিরিজ ।ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে রয়েছে । তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি জাভা দ্বীপের সেমেরু । উচ্চতা ৩৬৭৬ মিটার । শেষ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারীতে । তবে তখন কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ।
কিন্তু ডিসেম্বরে সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতে বেশ কিছু প্রাণহানীর ঘটনা ঘটল । তার সঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে, জাভা দ্বীপের বাসিন্দাদের ।
জানা গেছে,অগ্ন্যুৎপাতের ফলে মালাং শহরের সাথে লুমাজাং জেলার সংযোগকারী একটি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে । বিধ্বস্ত হয়েছে আশপাশের ভবনগুলি । ছাইয়ের ঘন স্তরে বেশ কয়েকটি গ্রামের আকাশ ছেয়ে গেছে । ফলে অন্ধকারে ঢেকে গেছে গ্রামগুলি । লাভার স্রোত কাছাকাছি একটি নদীর ৮০০ মিটার পর্যন্ত চলে এসেছে বলে খবর । এছাড়া এদিন রবিবার হালমাহেরার উত্তরে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয় । হালমাহেরা সেমেরুর থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত । তবে সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতের কারনে বিমান চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে ইন্দোনেশিয়ার আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এয়ারন্যাভের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে দিয়ে জানানো হয়েছে ।।