দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৬ আগস্ট : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১১ মহিলাসহ ১২ জন বুধবার থানায় আত্মসমর্পণ করেছে । ধৃতরা প্রত্যেকেই আউশগ্রাম থানার সোমাইপুর গ্রামের বাসিন্দা । প্রসঙ্গত, নখকুনির যন্ত্রণার জন্য গ্রামেই এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওষুধ আনতে গিয়ে খুন হন আউশগ্রামের সোমাইপুর লাইকিংপাড়ার বাসিন্দা সুমি সোরেন নামে এক আদিবাসী বিধবা মহিলা ৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এই খুনের ঘটনায় নিহত মহিলার ছেলে বুধন সোরেনই জড়িত । রবিবার তাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে খুনের কথা কবুলও করে । বুধন পুলিশকে জানায় সেইই মাঠের মাঝে নিজের মা’কে কোদাল দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ।
এরপর রবিবার সন্ধ্যায় বুধনকে সঙ্গে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত কোদালটি উদ্ধার করতে করতে সোমাইপুর লাইকিংপাড়ায় যান আউশগ্রাম থানার আইসি আবদুল রব খান এবং থানার সেকেণ্ড অফিসার উত্তম মণ্ডল । কিন্তু পাড়াই যেতেই ভোল বদল হয়ে যায় বুধনের । সে কান্নাকাটি জুড়ে দিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে দাবি করে যে পুলিশ তাকে মারধর করে তার মা’কে খুনের কথা জোর করে কবুল করিয়েছে । এদিকে বুধনের কাছে একথা শোনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় । দুই পুলিশ আধিকারিককে তারা সকলে মিলে বেদম মারধর করে । গ্রামবাসীদের মারে গুরুতর জখম হন দুই আধিকারিক । তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ।
জানা গেছে,পুলিশের উপর হামলার ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মঙ্গলবার লক্ষীগঞ্জ গ্রামে বৈঠকে বসেন আদিবাসী সংগঠন । ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে হামলায় জড়িতরা নিজেরাই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করবে । সেই মোতাবেক এদিন ১২ জন মিলে আউশগ্রাম থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে । পরে ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পাঠায় পুলিশ ।।