এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৫ সেপ্টেম্বর : সীমন্ত রক্ষীদের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা সমানে চলে যাচ্ছে । এবারে তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র মিলে ১১ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার, তামিলনাড়ুর তিরুপুরের একটি বাস স্ট্যান্ড থেকে ছয় বাংলাদেশিকে পাকড়াও করে স্থানীয় পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। ধৃতরা হল- তানভীর (৩৯), রাশেদ গাবুন (৪৩), মোহাম্মদ আসলাম (৪১), মোহাম্মদ আল ইসলাম (৩৭), মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৩০) এবং শোভন শেখ (৩৮)। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা সকলেই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
প্রাথমিকভাবে তারা মুধালিপালায়ামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি খুঁজছিল । কিন্তু সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের পাল্লাদমের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজের সন্ধান করার সময় বাস স্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে, রবিবার মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় স্থানীয় পুলিশ একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে পাকড়াও করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশের মানব পাচারবিরোধী সেল (এএইচটিসি) নাল্লা সোপারার একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বলে জানান ইন্সপেক্টর সৌরভী পাওয়ার। তিনি জানান, ধৃতদের নাম- আরশাদ রহমতুল্লাহ গাজী (৫২), আলী মোহাম্মদ দীনমোহাম্মদ মন্ডল (৫৬), মিরাজ সাহেব মন্ডল (১৯), সাজ্জাদ কাদির মন্ডল (৪৫) এবং সাহেব পাঁচানন সরদার (৪৫)। তাদের কারো কাছেই ভারতে প্রবেশের কোনো বৈধ নথি ছিল না। আরও জানানো হয়,ধৃত ব্যক্তিরা দশ বছর আগে নদীপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল । পুলিশ ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইন এবং ১৯৫০ সালের পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে গত ১৪ই আগস্ট ত্রিপুরার আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে ১৬ জন বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা হল- মিজানুর রহমান (২৬), সফিকুল ইসলাম (৩০), মোঃ আলামিন আলী (২৩), মোঃ মিলন (৩৮), সাহাবুল (৩০), সরিফুল শেখ (৩০), কবির। শেখ (৩৪), লিজা খাতুন (২৬), তানিয়া খান (২৪), ইথি শেখ (৩৯), বৃন্দাবন মণ্ডল (২১), আবদুল হাকিম (২৫), মোহম্মদ ইদুল (২৭), মোহম্মদ আবদুর রহমান (২০), মোহম্মদ আইয়ুব আলী (৩০) ও মোহম্মদ জিয়ারুল (২০)।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইট করেছিলেন,’কঠোর নজরদারি বজায় রেখে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করে, আসাম পুলিশ এবং বিএসএফ ভারত দুটি পৃথক ঘটনায় ২ জন অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আল মামন ও আনোয়ার হোসেন এই দুজনকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ।’ এর ঠিক একদিন পর,২৩ সেপ্টেম্বর, ফের তিনি এক্স-এ লেখেন,’অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের আরেকটি সফল পুশ ব্যাক অপারেশনে,আসাম পুলিশ করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে । সোহিল হাওলাদার,শাহ আলম, সৌরব হাওলাদার ও মোঃ কাওসার ।।