এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৪ মার্চ : মহাজনের কাছে সুদে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে দুই বান্ধবীকে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছিল দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী । এদিকে মহাজন টাকার জন্য তাগাদা করায় সে বান্ধবীদের টাকা ফেরত দিতে বলে । কিন্তু বান্ধবীরা টাকা ফেরত না দিয়ে উলটে বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায় বলে অভিযোগ । এই ঘটনার জেরে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হল মালদার ইংলিশ বাজারের এক দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী । মৃতার নাম শবনাম খাতুন । তার বাড়ি ইংলিশ বাজারের তেলিপুকুরের নেতাজি কলোনি এলাকায় । বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির শৌচাগারের পাশে সজনে গাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । যদিও এনিয়ে থানায় কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে।
শবনম খাতুনরা তিন ভাই ও এক বোন । সে ছোট। ইংলিশ বাজারের প্রান্তপল্লি গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত শবনম । মৃতার দাদা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোন তার দুই বান্ধবীকে আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় এক মহাজনের কাছ থেকে সুদে ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়েছিল । বিষয়টি আমরা জানতাম না । সম্প্রতি ওই মহাজন টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিচ্ছিল । তখন আমার বোন তার বান্ধবীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাগাদা করে । তার জেরে গত বুধবার আমার বোনের বান্ধবীরা বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায় । তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে । এই ঘটনার পর থেকেই আমার বোন মনমরা হয়ে পড়েছিল । কিন্তু ও যে এই কাজ করবে কল্পনাও করতে পারিনি ।’
পরিবার সুত্রে জানা গেছে,বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর শবনম খাতুন তার মায়ের সঙ্গে ঘুমতে চলে যায় । এরপর এদিন ভোরে শবনমকে দেখতে না পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করে । তারপর বাড়ির সজনে গাছের সঙ্গে নিজের ওড়নার ফাঁস দেওয়া শবনমের ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান পরিবারের লোকজন । মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।।