জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, বাঁকুড়া,১৮ এপ্রিল : ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও উত্থান- পতনের সাক্ষী বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানসমারি গ্রামের ৩২ নম্বর বুথের ১০৯ বছরের আনেরা বিবি (খান)। একে একে স্বামী ও তিন কন্যাকে হারিয়েছেন তিনি। সব হারিয়ে একরাশ যন্ত্রণা বুকে চেপে ভারতের সংবিধান রক্ষার্থে আজও তিনি নিজের ভোটধিকার প্রয়োগের স্বপ্ন দেখেন। গত পঞ্চায়েতে নিজের ভোট নিজেই দিয়েছেন। যদিও রাজনীতির তিনি কিছুই বোঝেন না।
দীর্ঘ ২৫ বছর কাটিয়েছেন সোনামুখী মানসমারি গ্রামে। সেখানকারই ভোটার তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর বড়জোড়ায় ছোট মেয়ের কাছে থাকেন। বয়স এসে শরীরে থাবা বসালেও ভাঙা কোমর নিয়ে একটি লাঠির ভরসায় টুকটুক করে ঘুরে বেড়ান বাড়ির উঠোনে। সারাবছর কেউ খোঁজ না রাখলেও ভোট আসলেই তার কদর বাড়ে। পাড়ার ছেলেরা গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে যায়। বয়স বাড়লে কী হবে নাগরিক অধিকার ছাড়তে নারাজ। তবে বাদ সাধছে শরীরটা।
আনেরা বিবি বললেন- ‘সেই কবে থেকে ভোট দিয়ে আসছি। এখনও ভোট দেওয়ার ইচ্ছে আছে। কিন্তু এতো দূরে গিয়ে কি আর ভোট দিতে পারব? কেউ যদি গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে যায় তবে এবারও ভোটটা দিয়ে আসব’।
বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সোনামুখীর বিডিও প্রিয়াঙ্কা হাটি। তিনি জানিয়েছেন,আনেরা বিবি যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি করবেন। এখন দেখার ১০৯ বছরের বৃদ্ধার ভোটদানের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য কেউ এগিয়ে আসে কিনা ।।