প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ এপ্রিল : কয়লা কারবারী রাজু ঝা কে খুনের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দশ দিন। সিবিআইয়ের ডাক পাওয়া রাজু ঝা কে খুন কাণ্ডের কোন কিনারই পুলিশ এখনও করতে পারেনি। এই অবস্থার মধ্যেই ফের সোমবার পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে খুন হল আইটিআই পাশ করা এক যুবক । নিহতের নাম তন্ময় মালিক(১৯)। তার বাড়ি শক্তিগড়ের হীরাগাছির ঘোষপাড়ায়।যুবক খুন হওয়ার খবর পেয়েই রাতে ঘটনাস্থলে পৌছে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় সহ অন্য পুলিশ কর্তারা। যুবকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। একের এর এক খুনের ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়েছে শক্তিগড়ের বাসিন্দা মহলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,রাজু ঝা যেখানে খুন হয় তার থেকে কিলোমিটার খানেক দূরে হীরাগাছি এলাকা। এদিন সন্ধ্যা নাগাদ সেখানকার ভাঠে তন্ময় মালিকের রক্তাত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকে দুটি ব্যাগ । তার মধ্যে একটি ব্যাগ তন্ময়ের বন্ধু পিন্টু মুর্মুর । ব্যাগ পড়ে থাকলেও পিন্টুর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পিণ্টু কোথায় গেল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
তন্ময়ের বাবা তাপস মালিক বলেন,আমার ছেলে
আইটিআই পাশ করে।আজই ছেলে চন্দননগর থেকে বাড়ি আসে। বাইরে যাবে বলে ছেলের একটা ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার ছিল ।তাই আমরা দজনে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম ভ্যাকসিনের জন্য।ছেলে এদিনই চন্দননগর ফিরে যাবে বলে তাকে বিকালে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে হীরাগাছি রেলগেট পর্যন্ত পৌছে দেন। তাপস বাবু জানান,ছেলেকে রেলগেটে কাছে নামিয়ে দিয়ে তিনি নিজের কাজের জায়গায় চলে যান । তারপর সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা রেলগেটের অদূর মাঠের মধ্যে তন্ময়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারই এমন ঘটনার কথা তাঁকে জানায় ।তাপস বাবু বলেন,এই খবর পেয়ে দ্রুত তিনি মাঠে পৌছে যান ।মাঠে গিয়ে তিনি দেখেন সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর ছেলে পড়ে আছে।খবর পেয়ে পুলিশও মাঠে পৌছে যায় ।
এদিকে তন্ময়ের মৃতদেহের পাশে পিন্টু মুর্মুর ব্যাগ পড়ে আছে জেনে যথেষ্টই বিচলিত হয়ে পড়েছে পিন্টুর বাড়ির লোকজন । পিন্টুর মা পুতুল মুর্মু বলেন,’ আমার ছেলে পিন্টু বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।এখনো তার কোন খোঁজ তাঁরা পাচ্ছেন না’।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।এটা খুনের ঘটনা বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।।