এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,২১ সেপ্টেম্বর : “পুলিশ” লেখা চারচাকা গাড়ি নিয়ে ডাকাতি করে বেড়াচ্ছিল মুর্শিদাবাদের একটা চক্র । ওই চক্রটি কার্যত ত্রাসের সৃষ্টি করে রেখেছিল । পুলিশও ওই চক্রটির কোনো হদিশ করতে পারছিল না । অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ১০ জন ডাকাত । উদ্ধার হয়েছে ডাকাতি করা ১৮ চাকার একটি ডাম্পার, “পুলিশ” লেখা তিনটি চারচাকা গাড়ি এবং দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ৷ পুলিশ জানিয়েছে,এই চক্রের মূল পান্ডা হল মমিদুল আলম ওরফে কাজল । বাকি দুষ্কৃতীরা হল : সিদ্দিক হোসেন, জিয়ারুল, মনিসুর রহমান,তফিজুল শেখ সাহিল,সম্রাট শেখ,জাহাঙ্গীর শেখ, সাবিরুল মীর সামির, জাকির মীর ও আলাদীন শেখ । ধৃতরা সকলেই বড়ঞা থানা ও কাঁদি মহকুমা এলাকার বাসিন্দা । ঝাড়গ্রাম,বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর ও বড়ঞা থানা এলাকা থেকে তাদের পাকড়াও করা হয় ।
আজ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির ঘটনাটা ঘটে গত ২০ আগস্ট রাত্রি প্রায় সাড়ে ১১ টা নাগাদ । ওইদিন রাতে বীরভূম থেকে পাথর বোঝাই ডাম্পারটি কাঁদি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়ক দিয়ে আসছিল ।বড়ঞা থানার কুন্ডল ও বীজপুর মোড়ের কাছে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি বোলেরো গাড়ি ডাম্পারটি দাঁড় করায় । ওই গাড়িতে ৬ জন দুষ্কৃতী ছিল । তাদের মধ্যে ২ জনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল । গাড়িতে থাকা ৬ জন দুষ্কৃতী মিলে চালক ও ২ খালাসিকে গামছা দিয়ে বেঁধে মাঠের মাঝে ফেলে ডাম্পারটি ছিনতাই করে নিয়ে চম্পট দেয় । পরে কোনো রকমে গামছার গিঁট খুলে ডাম্পারের চালক তার মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানান৷ পরের দিন ২১ শে আগস্ট বড়ঞা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন ডাম্পার মালিক ।
পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । গঠন করা হয় কান্দি মহকুমা পুলিশ ও বড়ঞা থানার পুলিশের একটি দল ৷ নেতৃত্ব দেন বড়ঞা থানার আইসি ওসি অরিন্দম দাস । পুলিশ সুপার জানান,তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে । আগস্ট মাসের ৩১ তারিখে তিন জনকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় ৷ ৬ জনের জলের বাকি তিনজনকে ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় । দলের মূল পান্ডা হল মমিদুল আলম ওরফে কাজল । ডাম্পারটি ছিনতাইয়ের পর ডালখোলায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে ডাম্পার এর হলুদ রং বদলে নীল রং করা হয় । ডাম্পার উদ্ধারের পর ১২ সেপ্টেম্বর আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় । ছিনতাই করা ডাম্পারের পাশাপাশি একটি।বোলেরো,একটি স্করপিও এবং আরও একটি চারচাকা গাড়ি উদ্ধার হয়েছে ।
ধৃতদের ২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন । এই চক্রের জাল কতদুর বিস্তৃত জানতে প্রয়োজন হলে ফের তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান ।।