এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৬ জানুয়ারী : বাঁকুড়ার যাদবনগরে পৌষ সংক্রান্তির মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে আহত এক তৃণমূল কর্মীর হাসপাতালে মৃত্যু হল । মৃতের নাম কবীর আলী শেখ(৪০) । রবিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় । এদিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আজও ফের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জয়পুর থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সৈয়দ আলি বায়েন,খেলাফৎ খাঁ ও সৈকত খাঁ ।ধৃতদের মধ্যে সৈয়দ আলি বায়েন তৃনমূলের স্থানীয় বেহেরপাড়া বুথ সভাপতি । খেলাফৎ খাঁ তৃনমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল কমিটির সম্পাদক বলে জানা গেছে। ধৃতদের এদিন বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ । এই ঘটনায় এনিয়ে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল ।
পৌষ পার্বন উপলক্ষে জয়পুর থানার যাদবনগর গ্রামের পাশে বাঁকা সিনি জঙ্গলে মেলা বসেছিল । সেখানেই চলছিল জুয়ার ঠেক । আর গত ১৪ জানুয়ারী ওই জুয়ার ঠেক থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বাধে । তৃণমূলের তৃনমূলের ব্লক সভাপতি ইয়ামিন গোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল প্রধান দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জনেরও বেশি আহত হয় । ইয়ামিন শেখের অনুগামী কবীর আলী শেখ গুরুতর আহত হন । প্রথমে তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । আঘাত গুরুতর থাকায় পরে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ও পরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কিন্তু এদিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
এই ঘটনার খবর যাদবনগর গ্রামে পৌঁছাতেই ফের উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরী হয়। শেষে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন । তৃনমূলের ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখ মৃতের পরিবারকে সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ।
এদিকে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বীলেশ্বর সিংহ এই ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূল-দুর্নীতি-মৃত্যু এগুলো সমার্থক । আগেও কাটমানির পাশাপাশি জুয়া খেলার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে । এবারেও আমরা দেখলাম দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে কিভাবে নিজেরাই মারামারি করে মানুষ মরছে
। আমি মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব আপনারা ত্রিপুরা এবং গোয়ায় দৌড়াবেন না । বরঞ্চ আপনারা পশ্চিমবঙ্গকে ঠিকমত সামলান
। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারনে আজ নিরীহ মানুষদের প্রাণ চলে যাচ্ছে ।’।