দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জানুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার ন’নগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাস দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হল । নিহতের নাম তরুণ দাস(৩৫) । কেতুগ্রামের ভুলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তরুণবাবু দূর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিতে খালাসির কাজ করতেন । দূর্ঘটনার সময় তিনি বাসের সামনের গেটের দায়িত্বে ছিলেন । গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি । সোমবার ভোরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
রবিবার দূর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন বাসের ছাদে বসে থাকা যাত্রী পেশায় গুড় ব্যবসায়ী কাটোয়ার চরবিকেহাট এলাকার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সরকার(৪৫) । তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে গুড় বিক্রির পাশাপাশি জনমজুরির কাজও করতেন । আরও কিছু যাত্রীর সঙ্গে বাসের ছাদে চড়ে কেতুগ্রামে গুড় বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন তিনি । ছাদের একেবারে পিছনে বসেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু । দূর্ঘটনার সময় বাসটি কাত হতেই তিনি নিচে পড়ে যান । তখন বাসটি উলটে তার উপরে এসেই পড়ে । আশপাশের লোকজন বাসটি কোনো রকমে তুলে তাঁকে উদ্ধার করে । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ।
এদিকে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এতদিন বাসের ছাদে যাত্রীবহন কেন হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এরজন্য প্রশাসনিক নজরদারির অভাবকেই দায়ি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা । এখন কাটোয়ার ন’নগরে যাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন । এদিন কাটোয়া এলাকার একাধিক সড়কপথে অভিযান চালিয়ে ছাদ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে খুলে ফেলা হয় বাসের ছাদে লাগানো ক্যারিয়ারগুলি । পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘এমনিতেই সব বাসের ছাদে ওঠার সিড়ি আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল। আরও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে ।’ পাশাপাশি তিনি জানান, বাসের ছাদে যাত্রীবহনের উপর সর্বদাই নজর রাখে পুলিশ । কিন্তু ফাঁকা জায়গায় গিয়ে যাত্রীরা বাসের ছাদে উঠে পড়লে তখন পুলিশের নজর এড়িয়ে যায় । জানা গেছে,দূর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটি আটকের পাশাপাশি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃতের নাম অমিত রায় । ধৃতের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে এদিন তাঁকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল ।।