এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার ও ঝাড়গ্রাম,২৭ জুন : পঞ্চায়েত নির্বাচন আবহে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল এরাজ্য । আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে কোচবিহার জেলার দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম বাবু হক । হতাহতরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে । অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলার ১১ নম্বর জেলাপরিষদ আসনে বিজেপির প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অকারণ মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে । বর্তমানে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি । এই ঘটনায় সাঁকরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এদিন ভোররাতে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গিতালদহের জারিধরলা, দরীবস গ্রামে । তারই মাঝে এলোপাথাড়ি গোলাগুলি চলে । বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে খবর । তাদের মধ্যে বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । আহতদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাদের কোচবিহারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় । কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের বিজেপির প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অকারণ মারধরের অভিযোগ তুলেছে শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি নিজের ফেসবুক পেজে চিকিৎসাধীন নেতার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন,’আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার ১১ নম্বর জেলাপরিষদ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শ্রী শুভঙ্কর মাহাতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুড়মি সমাজের এই মানুষটি দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ।’
শুভেন্দুর অভিযোগ,’ঝাড়গ্রামের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাঁকরাইল থানার পাতরা অঞ্চলে যখন নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তখন পুলিশ শুভঙ্কর বাবুকে আটকায় এবং সাঁকরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সইফুদ্দিন কোনো কারণ ছাড়াই ওনাকে মারধর করেন। শুভঙ্কর বাবুর দোষ, উনি বিরোধী দল করেন। উনি তৃণমূলের হুমকি ও ভয় দেখানো কে উপেক্ষা করে, পুলিশের চাপ কে অগ্রাহ্য করে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন এবং উনি প্রার্থীপদও প্রত্যাহার করেন নি। শুভঙ্কর বাবুর ছোট্ট বাচ্চাটির সামনেই পুলিশ শুভঙ্কর বাবুকে অমানবিক ভাবে হেনাস্থা ও মারধর করে, এমনকি শুভঙ্কর বাবুর স্ত্রী সহ পরিবার বা স্থানীয়রা পুলিশের কাছে উনি যে ক্যান্সার-এ আক্রান্ত সে কথা বলার পরেও পুলিশ কর্ণপাত করেনি। পরে আহত শুভঙ্কর বাবুকে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।পুলিশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আশা করা বৃথা, কারণ বাংলার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।’।