এইদিন ওয়েবডেস্,ভাতার, ০২ নভেম্বরঃ “ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা”, বাংলার এই প্রবাদটা সাধারনত অলীক কল্পনাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় । কিন্তু “ছেড়া কাঁথায় শুয়েও” লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে কখনও ছাড়েননি ভাতারের বামশোর গ্রামের বাসিন্দা মুক ও বধির হতদরিদ্র হরি মাঝি । তাই নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। অবশেষে এল চুড়ান্ত সাফল্য । মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে এক কোটি টাকার প্রথম পুরষ্কার জিতলেন পেশায় জনমজুর হরি । সোমবার বিকেলে ফলাফল ঘোষনা হওয়ার পরেই তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রতিবেশীরা ।
বামশোর গ্রামের ঢলদিঘির পাড়ে মাটির দেওয়াল খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরে সপরিবারে বসবাস করেন হরি মাঝি । বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী পুতুলদেবী ও ছেলে সুজন(১৮) । এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । হরির স্ত্রী ও ছেলেও জনমজুরির কাজ করেন । নুন আনতে পানতা ফুরনো সংসার । পুতূলদেবী জানিয়েছেন, অভাবের মাঝেও তাঁর স্বামী মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন । তবে সেভাবে কখনও কোনও পুরষ্কার পাননি । তবু তিনি টিকিট কাটতে ছাড়তেন না। তিনি বলেন, “আজ আমার স্বামীর কাছে বিশেষ টাকা পয়সা ছিল না । তাই সকালে বাজার যাওয়ার আগে ছেলের কাছে ৩০ টাকা চেয়ে নেন । এরপর বিকেলে শুনি আমার স্বামী যে টিকিট কেটেছিল তাতে এক কোটি টাকা পড়েছে ।” হরি মাঝির ছেলে সুজন বলেন, ” আমাদের জন্য একটা ইঁটের ঘর তৈরি করার খুব ইচ্ছা ছিল বাবার । প্রায়ই ইশারায় সে কথা বলত। কিন্তু অর্থাভাবে তা সম্ভব হয়নি । এবার বাবার সেই ইচ্ছা পুর্ন হবে ।”