এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৬ ডিসেম্বর : শিলিগুড়ি করিডর বা “চিকেন নেক” কে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্য বা “সেভেন সিস্টার্স” দখল করে “গ্রেটার বাংলাদেশ” গড়ার স্বপ্ন দীর্ঘ দিনের বাংলাদেশের উগ্র ইসলামি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির । সদ্য গজিয়ে ওঠা জিহাদি গোষ্ঠী জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা শরিফ ওসমান হাদী “সেভেন সিস্টার্স” ও পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে “গ্রেটার বাংলাদেশ”-এর ম্যাপ পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল । কিন্তু ওই জিহাদির মাথা লক্ষ্য করে কেউ বা কারা গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে ৷ বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক । এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আর এক জিহাদি নেতা ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহও একই হুমকি দিয়েছে । গতকাল সে ভারত সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছে যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দিয়ে রাখলে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলদা করে দেওয়া হবে । যদিও আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয় ভারতীয়রাও । তবে এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের নতুন ওই রাজনৈতিক দলটির এক নেতার ভারতকে টুকরো করার হুমকি দু’দেশের সম্পর্ককে আরও তিক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নির্বাচনী জনসভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, এদেশের সন্তানদের বিশ্বাস করে না তাদের আশ্রয়, ট্রেনিং দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে উস্কে দিচ্ছেন আমরাও বলে দিচ্ছি আপনাদের থেকে যারা স্বাধীনতা চায় তাদেরও আশ্রয় দিয়ে সেই সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবো।’তিনি আরও বলেন,’যারা এখনো দিল্লির তাবেদারি করছে তাদের বলছি আপনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা তৃতীয় স্বাধীনতা অর্জন করবো।
নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,’আপনার আমার মৃত্যু এই নির্বাচন কমিশানের কাছে কেবল মাত্র একটি সংখ্যা। এই মেরুদণ্ডহীন প্রধান নির্বাচন কমিশানের সঙ্গে যেন এমন ঘটনা ঘটে তার অপেক্ষায় আছি আমরা। এক ইলেকশন কমিশনার গেলে হাজারটা ইলেকশন কমিশনার পাওয়া যাবে। কিন্তু আমারা ভাই হাদি চলে গেলে আর কোনো হাদিকে পাওয়া যাবে না।’ বিশ্ববিদ্যায় শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের সমাজে এখনো কিছু মানুষ আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীল দলের যে শিক্ষকরা আছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে হবে।’ রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা শহিদ মিনারে অংশগ্রহণ করে নাই তাদের বলছি ক্ষমতার লোভে অন্ধ হইয়েন না। আর যারা এসেছেন তারা এখানে এসে একটা বক্তব্য দিয়ে আবার সিট নিয়ে নেগোসিয়েশন করবেন এভাবে জাতীয় ঐক্য হবে না।’
এদিকে, দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জিহাদি সারজিস আলম বলেন,’জুলাই অভ্যুত্থানের গণহত্যাকারী মৃত্যুদ্ণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কোনোদিন স্বাভাবিক হবে না। বাংলাদেশ অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস যদি এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া -পাওয়া যদি ভারতের কাছে তুলে ধরতে না পারে তাহলে ঐ বিল্ডিংগুলো থাকার দরকার নাই।’ আগামী দিনে জুলাই আন্দোলন, আন্দোলনের যোদ্ধাদের ওপর যদি কেউ আঘাত হানতে চায় তাহলে এই আগুন পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।।

